বিশ্বের নতুন নতুন আধুনিক কাজ কর্ম বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য অনলাইন কাজ বা কম্পিউটার কাজ কর্মের গতি অনেক হারে বেড়েছে।। তাই বিশ্বের অনেক দেশ এখন অনলাইন বৃত্তিক কাজ কর্ম করার জন্য কিছু মার্কেটপ্লেজে ফ্রিলান্সার খুজে থাকে।তার মধ্যে একটা টপ লেভেলের জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেজের নাম হল Fiverr.আমরা অনেকে ফাইভারে সফল হতে হতে পারিনা।যার কারণে টিক মতো ফাইভার থেকে অর্ডার পাচ্ছি না।ফাইভার একটা অন্যতম মার্কেটপ্লেজে হওয়ার কারণে এখানে ফ্রিলান্সারের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।
তা এখানে টিকে থাকতে হলে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে অবশ্যই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এই পোস্ট আমরা ফাইভারের কয়েকটি কৌশল নিয়ে আলোচনা করব।
১.একটি সুন্দর মানের প্রোফাইল তৈরি করার।
ফাইভারে আমাদের টিকে থাকতে হলে প্রথম যে ধাপটি সম্পুর্ণ ভাবে পার করতে হবে তা হলো ফাইভারে আমাদের একাউন্ট প্রোফাইল সুন্দর ভাবে সাজানো।আমাদের উচিৎ এমন ভাবে প্রোফাইলটা সাজানো যাতে বায়ার এসে সহজে বুঝতে পারে আমরা কোন কোন কাজ গুলো করতে পারি।কি কি সার্ভিস দিব। কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা দিলে আরো ভাল হয়। কারণ হলো যে কোনো কাজে আপনার সবাই চাই অভিজ্ঞতা সম্পুর্ণ ব্যাক্তি।এজন্য আমাদের প্রথম কাজ হলো প্রোফাইলটা বেশি অর্থ বহুল করে তুলা।
2.Fiverr একাউন্ট সেটিং পরিবর্তন করা।।
ফাইভারে আমাদের কিছু সেটিংস পরিবর্তন করতে হবে।যেমন হলো একাউন্ট বেরিফাই করার কয়েকটি সোশ্যাল মেডিয়ার সাথে একাউন্ট এক্টিভেট করা।যা করলে আপনি একটি ইউনিক ব্যাক্তি হিসাবে বায়ারের কাছে ও মার্কেটপ্লেজের কাছে সর্বাধিক পরিচয় লাভ করবেন। এজন্য যে কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া দেওয়া আছে সে গুলোর সাথে Fiverr একাউন্টি কানেক্ট করলে অনেক ভালো হবে।আপনার Fiverr profile সেটআপ100% হতে হবে।
তার পরবর্তী ধাপ হলো আমরা আমাদের skills গুলো এড করবো। কোন কোন কাজ পারি কয়েকটি এক্সপার্ট কয়েকটি advance চাহিদা অনুযায়ী এই গুলল সেট আপ করা।শিক্ষা লেভেল এড করা ফাইভার প্রোফািলের একটা অন্যতম বিষয় হিসাবে কাজ করে থাকে।কার হলো ফাইভারে একটা অপশন হলো সেখানে আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা Fiverr এ য়েটআপ করার। Fiverr এ একটা Profile সম্পুর্ণ ভাবে সাজানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই কাজ করলে আপনার কাজ পাওয়া ফাইভারে টিকে থাকা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
3.Fiverr professional গিগ তৈরি করা।
Fiverr gig কী? ফাইভারে আপনি যে কাজটি করতে চান তার একটা পেকেজ এর নাম হলো গিগ।সহজ ভাবে বললে বলা যায় ফাইভারের ভাষায় আমরা যে সার্ভিস গুলো দিচ্ছি তার নামই মুলত গিগ। এটা কিভাবে তৈরি করতে হবে তা আপনারা যারা ফাইভর নামক মার্কেটপ্লেজে চলে আসছেন। কাজ করবেন ভাবছেন একাউন্ট তৈরি করেছেন তার গিগ কি জানেন বলে আমার ধারনা। গিগ কীভাবে তৈরি করতে হবে তা জানতে হলে।
এই ভিডিওটি দেখতে পারেন এখানে ক্লিক করে।
গিগ তৈরি করতে এইখানে চাপ দিন।
একটা একদম সুন্দর মানের অনেক আকর্ষনীয় হতে হবে।কোন কোন সার্ভিস গুলো দিব তা আগে গিগে একদম স্পষ্ট করে বলে দিন। গিগ দেওয়ার জন্য আমাদের প্রথম উচিৎ হবে গিগের টাইটেল খুজে বের করা।আমরা এমন একটা এসিও রিলেটট টাইটেল গিগে প্রয়োগ করবো যাতে করে বায়ার সার্চ দিলে দেখায়। এজন্য টাইটেলে সার্ভিসের নাম সহজ করে দিতে হবে।কোন প্লার্টফর্মে কাজ করছি তা ওই রিলেটেড সার্ভিস অনুযায়ী টিক করে করে নিব।
তার পরের ধাপে আমরা দিব আমাদরে সার্ভিস অনুযায়ী ৫টি ট্যাগ। যাতে গিগটি খুজে পায় সহজ হবে ।আমরা জানি একটা গিগ তৈরি হয় প্রায় কয়েকটি ধাপে একেকটা ধাপ পার হতে হতে সর্বশেষ ধাপ হলো গিগ পাবলিশ। এটা হলো গিগের শেষ ধাপে এই ধাপে এসে আমাদের গিগটা পাবলিশ হয়ে যায়।এভাবে আমরা ফাইভারে আমাদের গিগ পাবলিশ করব।
4.ফাইভারে গিগ পাবলিশ করলেই যে আমারা কাজ পেয়ে যাব আর কিছু করতে হবে হবপ না তা কিন্তু বয় কারণ হলো একটা গিগ পাবলিশ করার পর তার পরবর্তী কাজ হলো কিভাবে আমরা আমাদের গিগটাকে সার্চ করার প্রথম পেইজে নিয়ে আশা। বা রেঙ্কে নিয়ে আশা কে বুঝায় তার মানে হলো আমাদের গিগটা সার্চ করার এক থেকে ১০ এর ভিতরে থাকা কে বুঝায়। এতে করে আমাদের পারমানেন্ট কাজ পেতে সহজ হয়ে যায়।।
5.সঠিক ভাবে বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠানো।
বায়ার রিকোয়েস্ট কি প্রথমে আমাদের জেনে নেওয়া উচিৎ। বায়ার রিকোয়েস্ট হলো বায়ারদের জব পোস্ট করার ওই জবের অফার।বায়ার ২ ভাবে কাজ নিতে পারে আর Fiverr seller ও ২ ভাবে কাজ পায়।প্রথম কাজটি হলো বায়ার যখন ফাইভারে তার টার্গট কাজ সার্চ করবে তখন অনেক গিগ দেখতে পারবে।সেখান থেকে তার চয়েজ অনুযায়ী যে কোনো সেলার কে নক করতে পারে বা ডিরেক্ট অর্ড়ার করতে পারে। যার যাদের গিগটা র্যাঙ্কে নায় তাদের সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বায়ার রিকোয়েস্টে।বায়াররা যখন জব পোস্ট করে তখন আমাদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী আমাদের বায়ার রিকোয়েস্ট অপশনে অফার আসে।
সেখান থেকে আমরা একদম বেশি বড় হবে না আবার একদমি ছোট হবে না।বায়ার যেন আমি কি বলছি সেটা বুঝে ওই রকম সহজ ভাষায় আমরা আমাদের অফারটা পাঠবো।বায়ার যখন আমাদের অফার দেখে যদি নক করে তাহলে ধরে নিব যে আমাদের অর্ডার পাওয়া সম্ভাবনা ৯৯%। তাই Fiverr এ সঠিক ভাবে বায়ার রিকোয়েস্টে রিপ্লাই করা অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই সহজ সুন্দর ভাবে বায়ার রিকোয়েস্ট অফার পাঠাতে হবে।এভাে আমরা আমাদের ফাইভাবে কাজ পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে কাজ করে থাকে। এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ টি বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠানো যায়।
6.Fiverr অনলাইন থাকার গুরুত্ব।
ফাইভারে আমাদের সবচেয়ে বেশি অর্ডার পেতে হলে টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন অনলাইনে একটু বেশি পরিমানে থাকা। কারন হলো যারা অনলাইনে যত বেশি থাকা যায় অর্ডার পাওয়া বায়ার নক পাওয়া ইত্যাদি সব থেকে বেড়ে যায়। কারণ হলো বায়ার যখন একটা গিগ দেখে তখন আগে দেখে নেই এই ফ্রিলান্সার বা সেলার অনলাইনে আছে কিনা। কারন একটা অর্ডার দেওয়ার প্রথম কাজ হলো আগে কমিনিউকেশন করা। বা আমরা যখন বায়ার রিকোয়েস্ট অফার পাঠায় তখন ও বায়ার দেখে কোন সেলার Fiverr এ অনলাইনে আছে।যদি অনলাইনে থাকে তাহলে থাকে মেসেজ করে।
এজন্য Fiverr এ টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন বেশির ভাগ সময় অনলাইনে অবস্থান করা।তাই ফাইভার সাকসেস হওয়া জন্য এই নীয়ম নীতি মেনে চলা জরুরি।
7.বায়ার কমিনিকেশন
Fiverr marketplace কাজ করতে হলে অনেক বেশি প্রয়োজন বায়ার কমিনিউকেশন।বায়ার কমিনিউকেশন যদি আপনি টিকটাক ভাবে করতে না পারেন তাহলে কিন্তু কাজ নিতে পারবেন না।কারণ হলো বায়াট কি বলছে সেটা আমাদের বুঝা লাগবে।এবং আমি যা বলছি তা বায়ার বুঝেছে কিনা। যদি ফাইভারে কমিউনিকেশন ভালো না হয় তাহলে আপনি অর্ডার পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।কেননা, একজন যদি আমি কি বলছি বা সে কি বলছে কিছুই না বুঝা যায় তাহলে অর্ডার পাওয়া ফাইভারে কঠিন ব্যাপার। সুতরাং Fiverr success হওয়ার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এই পোস্টে ফাইভারে সাকসেস হওয়া জন্য বেশ অনেক গুলো টিপস দিলাম যাহা আপনাদের একটু হলেও উপকার আসবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি আমার স্থান থেকে যতটুকু বুঝেছি তা শেয়ার করলাম।আশা করি কিছু কাজে আসবে।আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন।।